তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ পদের সিরাপ ব্যবহার করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পিটি কোমিক্স, পিটি এয়ারিন্ড ফার্মাটামা, ইউনিভার্সেল ফার্মাসিটিউক্যাল ইন্ডাট্রিজের ৫টি পদের সিরাপের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ওষুধ প্রশাসন বানডাম, পিওএম (ন্যাশনাল এজেন্সি অফ ড্রাগ অ্যান্ড ফুড কন্ট্রোল, ইন্দোনিশিয়া) দেশটিতে রেড এলার্ট জারি করেছে বলে ডব্লিউএইচওর র্যাপিড এলার্ট টিমকে অবগত করা হয়। পরবর্তীতে র্যাপিড এলার্ট টিম অভিযুক্ত তিনটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মেইল করে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে সতর্ক করে।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সিরাপগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ইথিলিন গ্লাইকল ও ড্রাই ইথিলিনগ্লাইকল পাওয়া যাচ্ছে বলে ডব্লিউএইচওর র্যাপিড এলার্ট টিম অবগত হয়েছে। যেসব সিরাপের বিষয়ে রেড এলার্ট করা হয়েছে তা হলো- পিটি কোনিমিক্সের প্যারিসিটামল ১৬০ এমজি, পিটি এয়ারিন্ড ফার্মাটিমার প্যারিসিটামল ১২০ এমজি, চলোরপিনিরামি মেলঅ্যাড ০.৫ এমজি, সিউডোহিডিরিন এইচসিআই ৭.৫ এমজি, ডেস্কট্রোমেথহোরহান এইচবিআর ৫ এমজি, ইউনির্ভাসেল কোম্পানির প্যারিসিটামল ১০০ এমজি, প্যারিসিটামল ১২০ এমজি, প্যারিসিটামল ১২০ এমজি, গাইফেনসিন ২৫ এমজি, চলোরফিহেন ইরামিন মেলঅ্যাট এক এমজি। দেশের চিকিৎসকদের এসব ওষুধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার থেকে বিরত ও সতর্ক থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
তথ্যসূত্র: মেডিভয়েস
Leave a Reply